বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদ, অনশনকারীর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২০ ২১:০৫; আপডেট: ২ অক্টোবর ২০২৩ ১৬:৩২

  • ২০১৯ সালে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের আশুরার বিলে বাঁধ নির্মাণ করে উপজেলা প্রশাসন। এলাকাবাসী বাঁধা দিলে হয় মামলা। এবার বন্যায় বাঁধটি ভেঙে গেলে সম্প্রতি আবার মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়। বাধা দিয়ে শনিবার থেকে অনশনে বসে এলাকাবাসী।

দিনাজপুরে একটি বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে এক অনশনকারীর মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে অনশনে ছিলেন ৭৫ বছর বয়সী গোলাপ সরকার।

আরও একজনকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ করা হয়নি।

নবাবগঞ্জে একটি উদ্যান তৈরির জন্য আশুরার বিলে বাঁধটি নির্মাণ করে উপজেলা প্রশাসন। বন্যায় ভেঙে গেলে সেটি সম্প্রতি সংস্কারের কাজ শুরু করতে গেলে বাঁধা দেয় স্থানীয়রা।

গত শনিবার থেকে ভেঙে যাওয়া বাঁধের ওপর অনশন শুরু হয়। এলাকার পুরুষদের পাশাপাশি কর্মসূচিতে অংশ নেন নারীরাও।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অশোক কুমার চৌহান নিউজবাংলাকে জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে গোলাপ সরকার অসুস্থ হয়ে পড়েন। আন্দোলনকারীরা তাকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথেই মারা যান।

দিনাজপুর

শুক্রবার সকাল ১০টায় সমাহিত করা হয় গোলাপকে। এই মৃত্যুর পরেও কর্মসূচি থেকে সরে আসেনি অনশনকারীরা। বরং আরও বেশি ক্ষোভ জন্ম নিয়েছে।

এবার অনশনকারীরা তাদের কর্মসূচি শুরু করেছে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে।

গোলাপ সরকার নবাবগঞ্জ উপজেলার গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের হরিপুর আদর্শগ্রামের জব্বার সরকারের ছেলে।

আন্দোলনকারী রেজাউল ইসলাম জানান, সিরাজুল ইসলাম, গফুর আলী, আইজুল ইসলাম, দিলবার আলী ও সাদেক আলী নামে আরও পাঁচ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদেরকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে।

তিন নং গোলাপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ নং ওয়ার্ডের মেম্বার জোবায়ের হোসেন সোহেল নিউজবাংলাকে জানান, এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরেই আশুরার বিলে ফসল ফলিয়ে আসছিল। ২০১৯ সালে সেখানে বাঁধ নির্মাণ করে প্রশাসন। স্থানীয়রা বাঁধা দিলে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

‘এবার বন্যায় বাধটি ভেঙে গেলে কয়েকদিন আগে উপজেলা প্রশাসন কয়েকটি স্কেভেটর মেশিন নিয়ে আসে। আমরা বাধা দিয়ে সাত দিন ধরে সেই বাঁধের উপর অনশন ও নানা কর্মসূচি পালন করছি’-বলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।দিনাজপুর

জানতে চাইলে নবাবগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ব্যস্ত আছি। এ ব্যাপারে কোনো বক্তব্য দিতে চাই না।’

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল ধরেননি।



বিষয়: দিনাজপুর


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top